Khoborerchokh logo

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানিয়েছেন খোবাইব বিন আদি (রাঃ) ইয়াতিম খানা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । 292 0

Khoborerchokh logo

ছবি, খোবাইব বিন আদি (রাঃ) ইয়াতিম খানা উচ্চ বিদ্যালয়


শাহ মোহাম্মদ রায়হান ,রংপুুর ব্যুরো
 প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরে গঙ্গাচড়ায় এতিম খানার অর্থ লুটে ১৪ কোটি টাকার মালিক হায়দার, রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক তিস্তা সংবাদে এতিমদের অর্থে ৯ বছরে ১০ কোটি টাকার মালিক, জামায়াত কর্মীদের প্রতি পালন করছে পরিচালক, অর্ধকোটি টাকার অবৈধ মুনাফার আশায় পরিচালক নিজেই এতিমখানা ঠিকাদার, হাফেজ হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এতিমদের মাসিক ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এনপিনিউজ৭১ডটকম নিউজ পোর্টালে এতিম খানার অর্থ লুট করে হাফেজ হায়দার আলী  জিরো থেকে ১০ কোটি টাকার মালিক শিরোনামে সহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় প্রায় সমশিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি  দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে যেসব তথ্য ও উপাত্ত দেওয়া হয়েছে তার সবগুলোই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মানহানিকর। সে কারণে এসব খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এতিমখানা পরিচালক।
মূলত এতিমখানা টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ক্যাতার চ্যারিটি'র অর্থায়নে পরিচালিত এবং বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোর তালিকাভুক্ত (রোজি নংঃ ৯২৯) একটি প্রতিষ্ঠান। এনজিও ব্যুরোর প্রতিটি নিয়মই মেনে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন থেকে  পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানকার আর্থিক বিষয় ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পরিচালন ও এতিমদের পরিপলনের ব্যয় সহ সকল কিছু এনজিও ব্যুরোর নিরীক্ষায় বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, একটি স্বনামধন্য দাতা সংস্থা কে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে কোন ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করা গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে প্রায় পাঁচ শতাধিক এয়াতিম শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে  উদ্বিগ্ন।
প্রকাশিত সংবাদে বিভিন্ন শিরোনামে যেসব তথ্য  তুলে ধরা হয়েছে তার বিন্দুমাত্র কোন সত্যতা নেই। প্রকৃত তথ্য হলো এই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিমাসে প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের উল্লেখিত নির্দিষ্ট পরিমাণে কোন মাসিক অনুদান আসে না। ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক রাজধানীর গুলশান শাখার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক রংপুর ধাপ শাখা ও রংপুর শাখায় নির্ধারিত এতিমদের একাউন্টে কখনো তিন মাস কখনো ছয় মাস পরে ডোনাররা অনুদান প্রদান করেন। সেই অনুদানের টাকা ক্যাতার চ্যারিটি'র নির্ধারিত নিয়মে এবং এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যয় করা হয়। এমনকি  ইতিমদের নির্ধারিত সংখ্যাতে ও এই অর্থ ডোনাররা দেন না। ইয়াতিমদের সংখ্যাও উঠানামা করে। সেটিও করে সংস্থাটির ঢাকা অফিস অনলাইনের মাধ্যমে। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় খোবাইব বিন আদি (রা.)ইয়াতিম খানা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র  নির্ধারিত নিয়মে অর্থ ও আনুষঙ্গিক পরিচালনা  করে থাকেন। ভুয়া নামে এবং ভুয়া ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ তছরূপের যে গাণিতিক ব্যাখ্যা দিয়ে বছরে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে। শুধু মিথ্যাই নয়, ক্যাতার চ্যারিটি'ট এই প্রতিষ্ঠানটির মানহানিকরও বটে। এছাড়াও ইয়াতিম খানাটির মসজিদ নির্মাণ সংক্রান্ত যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তাও মিথ্যা ও বানোয়াট। ক্যাতার চ্যারিটি'র অনুমোদন ক্রমেই মূলত পুরনো মসজিদটির অবকাঠামো নষ্ট হওয়ায় সেটি ভেঙ্গে ফেলে তার পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের সময় পুরনো মসজিদের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুকুরে মাছ কখনই বিক্রি করা হয় না। মসজিদ নির্মাণের সময় কয়েকটি গাছ কেটে মসজিদের সাটারিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংবাদে ইয়াতিম দুই শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাৎ করার কথা বলা হয়েছে সেটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলতঃ এতিম শিক্ষার্থী মোছাঃ রাবিনা আক্তার ( ইয়াতিম আইডি নং- ০/১১০/৩২৯১) নামের গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ৬ মাস তার একাউন্টে ( এসএমএসে ২০৫০৩৩৩৬৭০০১৬৭৮১১, ইসলামী ব্যাংক ধাপ শাখা রংপুর) ২২ হাজার ৬৭১ টাকা এবং মারজানা আক্তার (ইয়াতিম আইডি নং- ০/১১০/৪১৯৬) এর একই সময়ে তার নিজস্ব একাউন্টে নং এসএমএসে ২০৫০৩৩৩৬৭০০১৩৬৪০৩ ইসলামী ব্যাংক ধাপ শাখা রংপুর) এর নামে ১৮ হাজার ৫৪৯ টাকা আসে। উক্ত এতিম শিক্ষার্থীদ্বয়ের নিজ নামে টাকা উত্তোলন করেছেন তারা নিজেই। ক্যাতার চ্যারিটি'র নিয়ম অনুযায়ী আমি পরিচালক হিসেবে হিসেবে তাদের সিগনেটরি মাত্র। ব্যাংক হিসাব স্টেটমেন্টই  তার প্রমান। সুতারাং কোন এতিম শিক্ষার্থীকে টাকা কম দেয়ার বিষয় টি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
সারা জামাত কবিতা প্রতিপালন সংক্রান্ত যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট মূলত এনজিও ব্যুরো স্মারক নং ০৩,০৭,০০০০,৬৬২,৬৯,১০৯( অংশ ১). ১২-২৭৬ এর মাধ্যমে ক্যাতার চ্যারিটি দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৬ টি পয়েন্টে ২০২০ ইফতার বিতরণ করে। একই ধারাবাহিকতায় এনজিও ব্যুরোর অনুমতি ক্রমেই  ক্যাতার চ্যারিটি নীলফামারীর জলঢাকায় ৯০০ প্যাকেট ইফতার বিতরণ করে। প্রতিষ্ঠানটির একজন প্রতিনিধি হিসেবে ও এতিমখানার একজন মুদির হিসেবে আমি সেখানে গিয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণে তদারকি করি মাএ। জলঢাকা উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে ক্যাতার চ্যারিটি ওই ইফতার মাহফিল বিতরণ করেন এবং উপজেলা প্রশাসন সেটি বাস্তবায়ন করেন। অথচ আমাদের এতিমখানার জামায়াত  কমীদের প্রতিপালন ও অপ্রীতিকল ঘটনার  মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। বিষয়টি গঙ্গাচড়া থানার পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। ওই তদন্তে সংবাদে উল্লেখিত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা কোন রাজনৈতিক দলের কোন উপস্থিতি পায়নি পুলিশ। যার রেকর্ড গংগাচড়া থানা লিপিবদ্ধ আছে।
এছাড়াও এতিমখানার ঠিকাদার হিসেবে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এতিমখানার ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজটি ক্যাতার চ্যারিটির নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা বিসমিল্লাহ কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে  কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও গংগাচড়া ও রংপুরে বিভিন্ন সম্পদ, বাড়ি ও ফ্ল্যাটে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বনোয়াট,ভিত্তিহীন বলে জানাগেছে। 


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com